আগামীকাল আরব আমিরাতের আকাশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এ উপলক্ষে সব মসজিদে সালাতুল খুসুফ (সূর্যগ্রহণের বিশেষ নামাজ) অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) আসরের পর তা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আমিরাতের ইসলাম ও দাতব্য কার্যক্রম বিভাগ (আইএসিএডি)।
খালিজ টাইমস সূত্রে জানা যায়, আমিরাতের আকাশে আংশিক সূর্যগ্রহণ প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য দেখা যাবে।
এ উপলক্ষে সব মসজিদের ইমামরা নামাজ পড়াবেন। সূর্যগ্রহণের নামাজে সবার উপস্থিত আবশ্যক করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ও আরব ফেডারেশন ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সেসের সদস্য ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানান, আগামীকাল বিকেল ৩টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে ৪০ শতাংশ আংশিক গ্রহণ দৃশ্যমান হবে। সাধারণত আংশিক সূর্যগ্রহণ খুবই কম ঘটে। চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে আসে তখনই এমন বিরল দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চাঁদ আংশিকভাবে শুধুমাত্র সূর্যকে ঢেকে রাখে।
দুবাইয়ের অ্যাস্ট্রোনমি বিভাগ জানিয়েছে, আংশিক সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী পুরোপুরি সরল রেখায় থাকে না এবং চাঁদ নিজের ছায়ার বাইরের অংশ পৃথিবীতে ফেলে। এমন দৃশ্য স্থানীয় সময় বিকাল ২টা ৪২ মিনিটে শুরু হয়ে ৪টা ৫৪ মিনিটে শেষ হবে। আর বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে।
দশম হিজরিতে পবিত্র মদিনায় সূর্যগ্রহণ হলে রাসুল (সা.) ঘোষণা দিয়ে সাহাবিদের সমবেত করে নামাজ পড়েছেন। আরবিতে সূর্যগ্রহণকে ‘কুসুফ’ বলা হয় এবং সূর্যগ্রহণের নামাজকে ‘সালাতুল কুসুফ’ বলা হয়। প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের চেয়ে এ নামাজে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এ নামাজের আগে কোনো আজান-ইকামত দেওয়া হয় না। দুই রাকাত বিশিষ্ট এ নামাজে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং রুকু ও সিজদার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দীর্ঘ হবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর অন্যতম দুটি নিদর্শন। এগুলো কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের জন্য ‘গ্রহণ’ হয় না, অতএব তোমরা যখন তা দেখবে তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাকবির বলবে, সালাত আদায় করবে এবং সদকা করবে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ১০৪০)